তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মার্চ ২০১৬

তিন দিনব্যাপী আইসিটি এক্সপো ২০১৬ এর পর্দা নামলো


প্রকাশন তারিখ : 2016-03-06

 

দ্বিতীয় বারের মত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের আয়োজন শেষে গতকাল পর্দা নেমেছে আইসিটি এক্সপো ২০১৬-এর। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই ছিল প্রযুক্তি প্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়। গত ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘মিট ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করে।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই আর এর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই মেলায় অনেক নতুন উদ্ভাবনের দেখা মিলেছে যা আগামী দিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বড় ভূমিকা রাখবে’। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অর্ধেক কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। বাকি কাজ তরুণরা করবেন। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির কাজ মূলত তরুণদের। তাই তরুণদের ওপরই তাকিয়ে আছে দেশ’।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, ‘আইসিটি সেক্টরের সাথে বাংলাদেশকে আমরা দ্রুতগতিতে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ প্রতি বছর ৬ লাখেরও বেশি ল্যাপটপ আমদানি করছে। আমরা এই আমদানির সাথে থাকতে চাই না আর এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, আইসিটি বিভাগের সম্মানিত জনাব সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এ এইচ এম মাহফুজুল আরিফসহ অনেকে।

 

মেলা চলাকালে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, ক্লাউড কম্পিউটিং, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি, ই-স্বাস্থ্যসেবা, ই-গর্ভনেন্স, আইটি এনাবল ও ট্রেড কর্মাসের সম্ভাবনা, তথ্য প্রযুক্তিতে মানবসম্পদের উন্নয়ন, ক্রস বর্ডার সাইবার ক্রাইম, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস ইত্যাদি বিষয়ে ১১টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, প্রোগ্রামাররা অংশ নেন এসব সেমিনারে।

 

এবারের মেলায় ছিলো ৫৯টি প্যাভেলিয়ন ও ৭০টি ছোট-বড় স্টল। প্রদর্শনীতে শিশুদের জন্য ছিলো ডিজিটাল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত হয়ে স্কুল শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় প্রতিযোগিতায়। ডিজিটাল চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় কুইজ কনটেস্টে ও সেলফি প্রতিযোগিতা।

 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।